সহজে যাকাতের হিসাব বের করার ফরম

প্রাপ্তবয়স্ক ও বোধশক্তিসম্পন্ন কোনো মুসলমান ব্যক্তির মালিকানাস্বত্বে যদি মৌলিক প্রয়োজনাদি ও ঋণ ব্যতিরেকে ৭.৫ তোলা (৮৭.৪৮ গ্রাম) স্বর্ণ থাকে কিংবা নগদ ক্যাশ, ব্যবসাপণ্য ও স্বর্ণ-রূপা প্রভৃতির সমষ্টি মূল্য ৫২.৫ তোলা (৬১২.৩৬ গ্রাম) রূপার মূল্য পরিমাণ তারিখের বাজার দর অনুপাতে টাকা প্রায় হয়, তাহলে সে ব্যক্তির উপর যাকাত ফরয।

যাকাত দেওয়া যাবে কেবল মুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিকে। কপর্দকহীন, কাজ করতে অক্ষম, অভাবী, ঋণগ্রস্ত ও মুসাফির ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যায়। তবে গরীব আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, অধিক দ্বীনদার (যাদেরকে দান করলে দ্বীনের অধিক উপকার হয়) ব্যক্তিবর্গ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাকাত লাভের উপযুক্ত।

অবশ্য নিজের ঊর্ধ্বতন আত্মীয় (পিতা-মাতা, দাদা-দাদী) অধঃস্তন আত্মীয় (সন্তান, নাতী-নাতনী), নিজ স্বামী/স্ত্রী, ধনী বা অমুসলিম ব্যক্তিকে যাকাত দেওয়া যাবে না। যাকাত যেহেতু কেবল ব্যক্তিকেই দেওয়া যায়, তাই কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ বা জনসেবামূলক কাজে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

যৌথ পরিবারে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজ নিজ সম্পদের পৃথক হিসাব করতে হবে। একই বিধান সমিতি বা যৌথ ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ভাড়ায় খাটানো যানবাহন, প্লট-ফ্ল্যাট, দোকান-পাটের মূল্যের উপর যাকাত আসবে না, বরং উপার্জিত অর্থের (যা নগদ ক্যাশ হিসেবে আছে) উপর যাকাত আসবে। একই বিধান ডেইরী ফার্ম, পোল্ট্রি ফার্ম, গার্মেন্টস ও মিল-কারখানার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে যানবাহন, প্লট-ফ্লাট, গবাদী পশু, মুরগী, কারখানার পার্টস বিক্রির উদ্দেশ্যে হলে মূল্যের হিসাব হবে এবং তা ব্যবসায়িক পণ্যের মূল্যের ঘরে বসবে।

যাকাতের হিসাবের ক্ষেত্রে চন্দ্রবর্ষ বিবেচ্য হবে। কারও কাছে যদি নিসাব পরিমাণ বা তদুর্ধ্ব সম্পদ থাকে এবং এক চন্দ্রবছর পর একই দিনে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে (বছরের মাঝের অবস্থা ধর্তব্য নয়), তাহলে বছরপূর্তি দিনের মোট সম্পদের ২.৫% হারে যাকাত আদায় করতে হবে। যেহেতু আমাদের সমাজে কেবল রমযান মাসেই ব্যাপকভাবে চন্দ্র হিসাব রাখা হয়, তা ছাড়া রমাযান মাসে কৃত ইবাদতের ফযীলত ও সওয়াবও বহুগুণ বেশি, তাই রমযান মাসকেই গণনার মানদÐ নির্ণয় করা শ্রেয়। অবশ্য এর ব্যতিক্রম হলেও ক্ষতি নেই।

ক. যাকাত আদায়ের সম্পদ

যেকোনো সূত্রে আপন মালিকানায় বিদ্যমান, যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে

4) ব্যবসাপণ্যের মূল্য (যার নিম্নোক্ত অবস্থা হতে পারে)

বিয়োগকৃত সম্পদ

মূল হিসাব

সূত্র :
(ক) যাকাতযোগ্য সম্পদের মূল্য = সব সম্পদের মোট মূল্য বিয়োগ (-) মোট ঋণ।
(খ) যাকাতের পরিমাণ = যাকাতযোগ্য সম্পদের মূল্য ভাগ (স্ট) ৪০।
উদাহরণ স্বরূপ : সব সম্পদের মোট মূল্য = ১০,০০০০০/= (দশ লক্ষ টাকা)
মোট ঋণ = ২,০০০০০ (দুই লক্ষ টাকা)
সুতরাং যাকাতযোগ্য সম্পদের মূল্য = (১০,০০০০০-২,০০০০০) = ৮,০০০০০/= (আট লক্ষ টাকা)
অতএব, যাকাতের পরিমাণ = (৮,০০০০০ স্ট ৪০) = ২০,০০০/= (বিশ হাজার টাকা)
      <form id="basicwizard">
      	<fieldset title="Step 1">
      		<legend>No Validation</legend>
      		...
      	</fieldset>
      	<fieldset title="Step 2">
      		<legend>Just Text</legend>
      		...
      	</fieldset>
      </form>